Monday, December 31, 2018

পরিবেশ ও আমরা


  কী  অবাক-করা  এই  পৃথিবী। গাছপালা,
ফলফুল, পশুপাখি, নদীনালা, হাওয়া, মাটি,
আলো এমনি কত কী ! সূর্য আমাদের আলো
আর উত্তাপ দেয়। সূর্য না থাকলে কেও বাঁচত
না । গাছ যেমন মাটি থেকে রস নেয়, তেমনি
সূর্যের আলো থেকেও সে খাবার তৈরি করে ।
সেই গাছ আমাদের ফল দেয় ফুল দেয় ।
আবহাওয়াকে শীতল রাখে।
    গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় । এই অক্সিজেন আমাদের সকলের বেঁচে থাকার জন্য দরকার । একটা গাছ কাটলে তার বদলে পাঁচটি নতুন চারা আমাদের লাগাতে হবে। ছোটো চারা একদিন মস্ত গাছ হয়ে উঠবে। গাছ বেশি নস হলে বৃষ্টি হবেনা, মাটি শুকিয়ে যাবে, ফসল ফলবে না। গরমে খুব কষ্ট হবে। নদীনালা পুকুর সবাই বৃষ্টি চাই।
    একটি কাঠঠোকরা ঠক ঠক করে শক্ত ঠোঁটে গাছে ঠোক্কর দিচ্ছে ! আমরা ভাবছি পাখিটা বড়ো দুস্টু।  আসলে সে গাছের পোকা খাচ্ছে। তাতে গাছ বেশিদিন বাঁচবে 
   আমরা যদি একে অন্যের কথা ভাবি তাহলে সকলেরই ভালো হয়।

Friday, December 28, 2018

নেমন্তন্ন

    নন্দকে  জানালা    দিয়ে    দেখে    চেঁচিয়ে
বললাম-সক্কাল বেলায় উঠে কোথায়  যাচ্ছিস
 রে ?
     নন্দ  বলল-কোন্নগর  যাচ্ছি । অন্নদাদিদির
বাড়ি । দিদির  ছেলের  মুখেভাত । মাসি  আর
মেসোমশাই  আসবে অনন্তপুর থেকে । আমার
 মাসতুতো বোন তিন্নি আর উত্তমাও  আসবে ।
  আমার  ছোটো ভাই চিত্ত  আছে  মান্নাপাড়ায়
 পিসিমণির কাছে । চিত্তকেও সঙ্গে নিয়ে যাব ।
মান্নাপাড়া আমার যাবার পথেই পড়বে । আরও
অনেকের ইমন্তন্ন ।
          বললাম-পথে    রোদ্দুর      হবে ।   ছাতা
নিয়েছিস তো ?
      নন্দ বলল-নিয়েছি ।
         -কবে ফিরবি নন্দ ?
          -আজ আর ফিরতে পারব না । রাত্তিরটা
কোন্নগড়েই থাকব । কাল ফিরব ।

Thursday, December 27, 2018

খুকি ও কাঠবেড়ালি

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও ? দুধভাত খাও ? বাতাবি নেবু ? লাউ ?

বেড়াল-বাচ্চা ? কুকুর-ছানা ? তাও?
ডাইনি তুমি হোঁতকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেঠুক!
বাতাবি নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো
তবে যে ভারী লেজ উঁঠিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?
ছোঁচা তুমি ! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার ! যাও !

কাজী নজরুল ইসলাম

Wednesday, December 26, 2018

পিঁপড়ে ও ফড়িং

খুব শীত পড়েছে। ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে একটা ফড়িং এল পিঁপড়ের কাছে।
পিঁপড়ে বললো --এই হাড়-কাঁপানো শীতে আমার কাছে এসেছ কি মনে করে?
ফড়িং বললো--ভাই ঘরে খাবার নাই মোটে। তোমার কাছে কিছু খাবার ধার চাইতে এসেছি।
পিঁপড়ে অবাক হয়ে বললো--তোমার খাবার তো আমার কাছে নেই। তবে গরমের দিনগুলোতে কি করছিলে? তখন তোমার খাবার তুমি জোগাড় করোনি কেন?
ফড়িং কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো--সময় পাইনি ভাই গরমের দিনগুলো গান গেয়ে গেয়ে কাটিয়েছি ।
পিঁপড়ে রেগে গিয়ে বললো--শীতের দিনগুলো নেচে নেচে কাটিয়ে দাও।

Tuesday, December 25, 2018

তুমি কে?


খোকন, ফুলের তুমি কে ?
দেখছি যেন তেমন হাসি
তোমার হাসিতে।
খোকন, ফুলের তুমি ক?

খোকন, পাখির তুমি কে ? 
শুনছি যেন সেই কাকলি
তোমার বলিতে!
খোকন, পাখির তুমি কে?



খোকন, মায়ের তুমি কে?
বুক-জুড়ানো ধনটি এমন
 আর তো দেখিনি!
খোকন, মায়ের তুমি কে?

যোগীন্দ্রনাথ সরকার

Monday, December 24, 2018

বিস্কুট

কুট কুট 
বিস্কুট।
মুট মুট
বিস্কুট।
যেথা রাখি 
লুকিয়ে,
সেথা করে
লুট ! লুট !
কে খায় রে,
কে খায় রে!
শুনে দেয় 
ছুট ! ছুট !
অন্নদাশঙ্কর রায়

Sunday, December 23, 2018

ঝিনেদার জমিদার

ঝিনেদার জমিদার কালাচাঁদ রায়রা
সে বছর পুষেছিল এক পাল পায়রা।
বড়বাবু খাটিয়াতে বসে বসে পান খায়,
পায়রা আঙিনা জুড়ে খুঁটে খুঁটে ধান খায়।
হাঁসগুলো জলে চলে আঁকাবাঁকা রকমে,
পায়রা জমায় সভা বক্-বক্-বকমে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর