Sunday, February 24, 2019

খেলার মাঠে

 

আজ আমাদের ইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। একটা সুন্দর চাঁদোয়া টাঙানো হয়েছে। সেখানে বসে আছেন পুরোনো কয়েকজন নামি খেলোয়াড়। ওঁরাই পুরস্কার দেবেন। হাইজাম্প, লংজাম্প, সাধারণ দৌড়, মিঠাই দৌড়, পা-বাঁধা দৌড়, দড়ি টানাটানি-- আরও কত রকম প্রতিযোগিতা। যারা কোনো বিষয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে তারা পুরস্কার পাবে। ফাল্গুনি, পান্না আর সেলিম খুব ভালো দৌড়ায়। মেয়েদের মধ্যে সেলিনা, চম্পা আর রুনার মধ্য একজনের প্রথম হবার সম্ভাবনা। হাইজম্পে ওস্তাদ হল রবিন আর পল্লব। দড়ি টানাটানিতে যোগ দেবেন মাস্টারমশাইরা আর পুরোনো ছাত্রেরা। আর মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় যোগ দেবেন আমাদের মেয়েরা আর দিদিমণিরা। সবচেয়ে মজার খেলা হল 'যেমন খুশি সেজে এসো' । সাজার ঘরটায় গিয়ে আমি তো অবাক। কাওকে চিনতে পারছি না যে!

Saturday, February 16, 2019

কৃষ্ণনগর

কৃষ্ণনগর কৃষ্ণনগর 
                 করছ তুমি কি
-এই দেখো-না
            আমি কেমন 
              পুতুল গড়েছি। 
 কী কী পুতুল ?
        কী কী পুতুল?
               আমায় বল্‌‌-না ভাই।
ময়ূর, হরিণ সোনার বরন
            আর কি বলো চাই!
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে 
          ঘূর্ণিমাটির আলো,
বন্ধু তুমি এঘর-ওঘর
           খুশির প্রদীপ জ্বালো।

Wednesday, January 2, 2019

আসল কথা

                (১)
একটি আছে দুষ্টু মেয়ে,
       একটি ভারি শান্ত,
একটি আছে দখিন হওয়া,
        আরেকটি দুর্দান্ত।
(২)              
আসল কথা, দুটি তো নয়
            একটি মেয়েই মোটে,
    হটাৎ ভালো হটাৎ সেটি
         দস্যি হয়ে ওঠে।
                 (৩)
একটি আছে ছিঁচকাঁদুনি
          একটি করে ফুর্তি,
একটি থাকে বায়না নিয়ে,
        একটি খুশির মূর্তি।
(৪)               
আসল কথা, দুটি তো নয়
        একটি মেয়েই মোটে,
কান্না হাসির লুকোচুরি 
       লেগেই আছে ঠোঁটে।

অজিত দত্ত


Tuesday, January 1, 2019

চরিত্রই জীবনের ফলাফল

বিয়ে করার পূর্বে এই কাহিনীটা ভাল করে মনে রাখবেন…
.
এক যুবক তার যৌবন কে সারাটা জীবন খারাপ কাজে ব্যয় করেছে। এবার তার বিয়ের সময় হয়েছে। কিন্তু তার মনে একটাই চিন্তা আমি খারাপ হলেও, ভাল একটা মেয়ে বিয়ে করবো তা যেভাবেই হোক না কেন। এমন চিন্তা করে সে এক জায়গায় পাএী দেখতে গেল। সে দেখল মেয়ে খুব সুন্দরী। বিয়ে করতে ইচ্ছে হল। বিয়ের তারিখ ও ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু ছেলের মনে একটাই চিন্তা মেয়ে ভাল হওয়া লাগবে। তাই এবার সে মেয়ের কাছাকাছি গিয়ে বলল, আমি তো তোমাকে বিয়ে করবই। তার আগে আস আমরা নতুন পার্কে গিয়ে ঘুরে আসি। মেয়ে রাজী হল না। অনেক চেষ্টা করে রাজি করাল। তারা নতুন নতুন জায়গা দেখল। যুবকটি এবার মেয়েটিকে গোপন জায়গায় নিয়ে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিল। মেয়েটি চিন্তা করল। সে তো আমাকেই বিয়ে করবে। তাই সে সব দিয়ে দিল। যুবক কাজ শেষে চিন্তা করল যেই মেয়ে বিয়ের আগেই আমাকে সব দিয়ে দিল, সেই মেয়ে না জানি আরো কতজনকে দিয়ে
হয়েছে। তাই সে চিন্তা করল এই মেয়ে বিয়ে করবে না।
.
সে চলে গেল আরেক জায়গায় পাএী দেখতে। সেখানেও এরকম ঘটনা ঘটল। এভাবে সে ছয়টা মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছে। সে এবার নিরাশ হয়ে তার পিরের কাছে সব ঘটনা খুলে বলল। পীর তাকে একটা তাবীজ দিয়া দিলেন। এবার সে এক জায়গায় গেল পাএী দেখতে। মেয়ে খুব সুন্দরী তাই তার বাবা বিয়ের দিন ঠিক করল। কিন্তু ছেলের চিন্তা হল মেয়ে খাটি হতে হবে। তাই পরীক্ষা করার জন্য পুর্বের মত তাকে ও পার্কে জাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিল। মেয়েটি এই প্রস্তাব শুনে আগুনের মত ক্ষেপে গিয়ে বলল, খবরদার আমরা ধার্মিক পরিবারের মেয়ে। বিয়ের আগে এ কাজ করব না। চলে যাও এখান থেকে। যুবকটি চিন্তা করল এই মেয়ে না জানি আরো কত যুবককে তারিয়ে দিয়েছে।
.
অনেক চেষ্টা করে তাকে বিয়ে করে। বাসর রাতে খুব কাছাকাছি গিয়ে জিজ্ঞেস করল; আচ্ছা বউ বিয়ের আগে পার্কে গিয়ে তোমাকে ভোগ করতে চেয়েছিলাম, তখন তুমি দাওনি এখন তো তুমি সবই দিয়ে দিচ্ছ। ধমক দিয়ে লাভটা হইলো কি? বউ এবার নরম সুরে স্বামীর মাথায় হাত রেখে বলছে স্বামীগো, আল্লার কসম তোমার আগে আরো ছয়জন পুরুষ আইসা আমারে বিয়ার কথা বলে ছয়বার নষ্ট করছে। এরপর চিন্তা করলাম বিয়ের আগে আর কাউকে দিবনা। তাই তোমাকেও দেইনি। স্বামী কপালে হাত দিয়া বলল তাবিজ দিয়া লাভটা হইল কি? যেমন কর্ম তেমন ফল।
.
তাই আসুন নিজেকে পবিএ করি। নতুবা এরকমই হবে। আল্লাহ তায়ালা ভাল পুরুষকে ভাল মেয়ের সাথে মিলিয়ে দিবেন। এটাই আল্লাহর ওয়াদা।

হিংসার ফল

  সাগরের তলে ছিল গুপ্ত পাহাড়। পাহাড়টা কোথায় তা ভালো বোঝা যেত না। ধাক্কা লেগে জাহাজ ডুবে যেত।
এক সাধু ভাবতে লাগলেন জাহাজ কিভাবে বাঁচানো যায়। তাঁর অসম্ভব সাহস। সাগরে ঢেউ উঠছে, ঢেউ পড়ছে। তিমি আছে, হাঙর আছে। সাধু তবু ভয় পেলেন না। সাঁতরে গিয়ে তিনি পাহাড়ের গায়ে একটি ঘণ্টা বেঁধে দিলেন। ঢেউয়ের দোলায় ঘণ্টা বাজতো। জাহাজের নাবিকেরা বুঝতো পাহাড়টা কোথায়। তাতেই জাহাজ বেঁচে যেত। এজন্য সবাই সাধুর গুনগান করত।
   তাতে এক ডাকাতের হিংসে হল। সে সাগরের বুকে ডাকাতি করে বেড়াত। একদিন সে এক কান্ড করলো । ওই ঘন্টাটা কেটে দিলো।
  কিছু দিন বাদে ওই পথেই ফিরছিল সে । চারদিকে ঘণ কুয়াশা। ডাকাত টা ভাবল, ইস্ ঘণ্টাটা যদি থাকত। ভাবতে না ভাবতেই জোর ধাক্কা। ভীষণ আওয়াজ করে জাহাজটা ডুবে গেল।

Monday, December 31, 2018

পরিবেশ ও আমরা


  কী  অবাক-করা  এই  পৃথিবী। গাছপালা,
ফলফুল, পশুপাখি, নদীনালা, হাওয়া, মাটি,
আলো এমনি কত কী ! সূর্য আমাদের আলো
আর উত্তাপ দেয়। সূর্য না থাকলে কেও বাঁচত
না । গাছ যেমন মাটি থেকে রস নেয়, তেমনি
সূর্যের আলো থেকেও সে খাবার তৈরি করে ।
সেই গাছ আমাদের ফল দেয় ফুল দেয় ।
আবহাওয়াকে শীতল রাখে।
    গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় । এই অক্সিজেন আমাদের সকলের বেঁচে থাকার জন্য দরকার । একটা গাছ কাটলে তার বদলে পাঁচটি নতুন চারা আমাদের লাগাতে হবে। ছোটো চারা একদিন মস্ত গাছ হয়ে উঠবে। গাছ বেশি নস হলে বৃষ্টি হবেনা, মাটি শুকিয়ে যাবে, ফসল ফলবে না। গরমে খুব কষ্ট হবে। নদীনালা পুকুর সবাই বৃষ্টি চাই।
    একটি কাঠঠোকরা ঠক ঠক করে শক্ত ঠোঁটে গাছে ঠোক্কর দিচ্ছে ! আমরা ভাবছি পাখিটা বড়ো দুস্টু।  আসলে সে গাছের পোকা খাচ্ছে। তাতে গাছ বেশিদিন বাঁচবে 
   আমরা যদি একে অন্যের কথা ভাবি তাহলে সকলেরই ভালো হয়।

Friday, December 28, 2018

নেমন্তন্ন

    নন্দকে  জানালা    দিয়ে    দেখে    চেঁচিয়ে
বললাম-সক্কাল বেলায় উঠে কোথায়  যাচ্ছিস
 রে ?
     নন্দ  বলল-কোন্নগর  যাচ্ছি । অন্নদাদিদির
বাড়ি । দিদির  ছেলের  মুখেভাত । মাসি  আর
মেসোমশাই  আসবে অনন্তপুর থেকে । আমার
 মাসতুতো বোন তিন্নি আর উত্তমাও  আসবে ।
  আমার  ছোটো ভাই চিত্ত  আছে  মান্নাপাড়ায়
 পিসিমণির কাছে । চিত্তকেও সঙ্গে নিয়ে যাব ।
মান্নাপাড়া আমার যাবার পথেই পড়বে । আরও
অনেকের ইমন্তন্ন ।
          বললাম-পথে    রোদ্দুর      হবে ।   ছাতা
নিয়েছিস তো ?
      নন্দ বলল-নিয়েছি ।
         -কবে ফিরবি নন্দ ?
          -আজ আর ফিরতে পারব না । রাত্তিরটা
কোন্নগড়েই থাকব । কাল ফিরব ।